Posts

মানুষ আল্লাহর থেকেও কঠিনভাবে মানুষের বিচার করতে চায়।

Image
  মানুষ মানুষের বিচার আল্লাহর থেকেও কঠিনভাবে করতে চায় আজকের দুনিয়ায় দেখা যায়— কোনো মুসলিম যদি সামান্য ভুল করে, সাথে সাথে তাকে বাকা চোখে দেখা হয়। এক মুহূর্ত দেরি না করে তাকে ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হয় – “মুনাফিক”, “কাফির”, “ফাসিক”। কিন্তু প্রশ্ন হলো – আমরা কি আল্লাহর থেকেও বড় বিচারক? যে আল্লাহর দয়া আসমান-জমিনের থেকেও বিস্তৃত, যিনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন, তিনি যদি কাউকে সঙ্গে সঙ্গে ফয়সালা না করেন, তাহলে আমরা এত তাড়াহুড়া করি কেন? রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: 👉 “যদি কেউ তার ভাইকে ‘হে কাফির’ বলে ডাকে, আর সে যদি সত্যিই তেমন না হয়, তবে এই (কাফির বলার) কথা তার নিজের ওপর ফিরে আসে।” (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম) তাহলে আমাদের করণীয় কী? মানুষকে তাদের ভুলের কারণে ইসলাম থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া নয়, বরং তাদের হাত ধরে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা। কারণ, বিচারের আসল অধিকার কেবল আল্লাহর।

১৩ সেকেন্ডে ১৫ টি আ/ঘাত

Image
  সম্প্রতি বগুড়ায় ঘটে যাওয়া একটি নির্মম হত্যাকাণ্ড পুরো সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছে। শহরের দত্তবাড়িতে অবস্থিত শতাব্দী ফিলিং স্টেশনের অফিসকক্ষে ম্যানেজার ইকবাল হোসেন (২৫) ঘুমন্ত অবস্থায় সহকর্মী রাকিবুল ইসলাম ওরফে রতনের হাতুড়ি আঘাতে প্রাণ হারান। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মাত্র ১৫–২০ সেকেন্ডের মধ্যেই ধারাবাহিকভাবে হাতুড়ি চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। এই নৃশংস ঘটনার পেছনে ছিল প্রতিশোধের আগুন। কিছুদিন আগে তেল চুরির মিথ্যা অভিযোগ এনে ইকবালের হাতে মারধরের শিকার হয়েছিল রতন। সেই আঘাতের বদলা নিতে সে পরিকল্পিতভাবে সহকর্মীকে হত্যা করে। ঘটনাটি শুধু একটি হত্যাকাণ্ড নয়, বরং এটি আমাদের সমাজের ভেতরে জমে থাকা হিংসা, প্রতিশোধ আর নিয়ন্ত্রণহীন রাগের ভয়াবহ প্রতিচ্ছবি। কর্মস্থলে ছোটখাটো মতবিরোধ থেকে শুরু করে বন্ধুদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি—সবখানেই আমরা দেখি ক্রোধের আগুন মুহূর্তেই ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনে। কিন্তু আমরা ভুলে যাই, প্রতিশোধ কখনোই সমাধান নয়। প্রতিশোধ শুধু নতুন অপরাধের জন্ম দেয়, ধ্বংস করে পরিবার, কর্মক্ষেত্র ও সমাজের স্থিতি। ইসলামে আল্লাহ তায়ালা বারবার বলেছেন ক্রোধ সংযম করার কথা। রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: > “শক্...

ডাকসুতো কোন নেতৃত্ব প্রয়োজন?

Image
 ডাকসু নির্বাচন: দেশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কোন নেতৃত্ব প্রয়োজন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় বাংলাদেশের রাজনীতির জননী। এখান থেকেই গড়ে উঠেছে অনেক আন্দোলন, অনেক নেতা, এবং দেশের জন্য বড় পরিবর্তনের সূচনা। তাই ডাকসু নির্বাচন কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিষয় নয়, বরং এর প্রভাব পুরো দেশজুড়ে পড়ে। ডাকসুর ঐতিহাসিক ভূমিকা ডাকসু বাংলাদেশের ইতিহাসে একাধিকবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, গণতান্ত্রিক আন্দোলন—সব জায়গাতেই ডাকসুর নেতৃত্ব থেকে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। কিন্তু দীর্ঘ সময় ডাকসুর নির্বাচন হয়নি। শেষবার ২০১৯ সালে নির্বাচন হলেও নানা অনিয়ম ও বিতর্ক থেকে শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট হতে পারেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি এবারের ডাকসু নির্বাচন ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। প্রধান ছাত্র সংগঠনগুলো সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা চায়—এমন একটি নেতৃত্ব আসুক, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ রক্ষা করবে, শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কাজ করবে, এবং জাতীয় রাজনীতির অন্ধ অনুকরণ করবে না। কে জিতলে দেশের জন্য ভালো? যারা শিক্ষার্থীদের বাস্তব সমস্যাকে গুরুত্ব দেবে — যেমন আবাসন...

দাজ্জাল কোন ব্যাক্তি, নাকি সিস্টেম?

Image
দাজ্জাল এর সিস্টেম   দাজ্জাল: ব্যক্তি না সিস্টেম? আসসালামু আলাইকুম। আজকের আলোচনার বিষয় হলো দাজ্জাল: এটি কি একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তি, নাকি একটি সিস্টেম? এই প্রশ্নটি বহুদিন ধরে আলোচিত এবং এর উত্তর খুঁজতে আমরা কুরআন, হাদিস, ইজমা, কিয়াস এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটের আলোকে বিষয়টি বিশ্লেষণ করবো।প্রথম জেনে নেওয়া জাক  দাজ্জালের সংঙ্গা কি? দাজ্জাল শব্দের অর্থ হলো মিথ্যাবাদী বা প্রবঞ্চক। ইসলামে দাজ্জালকে একটি মহাফিতনা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা কিয়ামতের অন্যতম বড় নিদর্শন। কুরআনে দাজ্জাল শব্দটি সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি, তবে ফিতনার প্রতি সতর্ক করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচতে সূরা আল-কাহফ পড়া উচিত। আল্লাহ বলেন, “তোমরা পৃথিবীতে ফিতনা ছড়িও না।”  দাজ্জালের ফিতনা হবে শয়তানের প্রলোভনের সর্বোচ্চ রূপ। হাদিসে বলা হয়েছে,দাজ্জাল হবে একচোখা। তার দুই চোখের মাঝখানে ‘কাফির’ শব্দ লেখা থাকবে।সে নিজেকে স্রষ্টা দাবি করবে।  তার ক্ষমতা সম্পর্কে হাদিসে বলা হয়েছে  দাজ্জালের হাতে জান্নাত ও জাহান্নামের মতো বিভ্রম থাকবে। যেটা সম্পুর্ন ধোকা। সে মানুষকে বৃষ্টি ঝরানো এবং জ...

অশ্লীলতা কি নারির অধিকার?

  অশ্লীলতা কখনো অধিকার হতে পারে না! আমরা কি এমন একটা সমাজ চাই, যেখানে সত্য বলা অপরাধ? যেখানে অন্যায় দেখলে চোখ বন্ধ রাখতে হয়? যেখানে অশ্লীলতা প্রশ্নবিদ্ধ করলেই তুমি শত্রু হয়ে যাও  কিছু গোষ্ঠী "অধিকার" নামের মুখোশ পরে অশ্লীলতাকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সত্য কখনো চাপা থাকে না! আমরা কি দেখছি আজকাল? প্রকাশ্যে ছেলেমেয়ে একসাথে ধূম পান করছে, কিন্তু কেউ কিছু বললেই তাকে আ ক্র মণ করা হচ্ছে!  একজন যুবক নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় মেয়েদের অশ্লীল আচরণে আপত্তি করেছিল, কিন্তু শাস্তি পেল সেই ছেলেটাই! আল্লাহ ও রাসুল (সা.)-কে অপমান করলে তাদের জন্য কোনো বিচার হয় না, কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করলে তাকেই জেলে পুরে দেওয়া হয়! এটাই কি "অধিকার"? না, এটা অধিকার নয়, এটা বিশৃঙ্খলা! আমরা ইসলামি শিক্ষা থেকে জানি, সত্যিকারের অধিকার হচ্ছে মানুষের মর্যাদা রক্ষা করা। কিন্তু এই তথাকথিত "অধিকারকর্মীরা" যে সংস্কৃতি গড়ে তুলছে, তা কি আমাদের সমাজের জন্য ভালো? যদি প্রকাশ্যে ধূমপান করা অধিকার হয়, তাহলে পুরুষের ক্ষেত্রেও সেটা সমানভাবে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। কিন্তু যদি সমাজে নৈতিকতা বজায় রাখতে হয়, তাহল...

শুধু শিক্ষা দিয়েই কি জাতীর উন্নয়ন সম্ভব?

"শুধু শিক্ষা দিয়েই কি জাতি উন্নয়ন সম্ভব?" "আজকের আলোচনায় আমরা জানব, জাতি উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষার ভূমিকা কতটুকু এবং কেন শুধু শিক্ষা দিয়েই উন্নয়ন সম্ভব নয়। চলুন, বিষয়টি গভীরভাবে অনুধাবন করি।" "শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। এটি মানুষের চেতনা, মননশীলতা এবং কর্মদক্ষতাকে বিকশিত করে। একটি শিক্ষিত জাতি নিজেদের অধিকার বুঝতে পারে, প্রযুক্তি আয়ত্ত করতে পারে, এবং বিশ্ববাজারে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে পারে। কুরআনেও আল্লাহ তাআলা প্রথম নির্দেশ দিয়েছেন 'পড়ো' (ইকরা) শব্দের মাধ্যমে। অতএব, উন্নয়নের জন্য শিক্ষা অপরিহার্য। কিন্তু প্রশ্ন হলো, শুধু শিক্ষা কি যথেষ্ট?" "শুধু শিক্ষার ওপর নির্ভর করে উন্নয়নের চেষ্টা করলে কিছু গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। একজন ব্যক্তি যদি শিক্ষিত হয় কিন্তু তার নৈতিকতা না থাকে, তবে সে দুর্নীতির পথেও যেতে পারে। অনেক উন্নয়নশীল দেশেই উচ্চশিক্ষিত মানুষ রয়েছে, কিন্তু সঠিক নেতৃত্ব, ন্যায়বিচার বা কর্মসংস্থানের অভাবে তারা জাতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারছে না। ইতিহাসে আমরা দেখেছি, কিছু শিক্ষিত নেতৃত্বের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে গোটা জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।...

তাকওয়ার গুরুত্ব ও পুরষ্কার

   শিরোনাম: তাকওয়া: প্রকৃত মুসলিমের শ্রেষ্ঠ গুণ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম প্রশংসা সেই আল্লাহর, যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং তাকওয়াকে মু’মিনদের জন্য সর্বোত্তম গুণ হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। দরুদ ও সালাম প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি, যিনি আমাদের তাকওয়ার প্রকৃত শিক্ষা দিয়েছেন। 🔹 ভূমিকা: প্রিয় দর্শক, আপনি কি জানেন— একজন সত্যিকারের মুসলিমের জীবনে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ কী? সেটা হলো তাকওয়া । তাকওয়া শুধু একটি শব্দ নয়, বরং এটি এমন একটি গুণ, যা মানুষকে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করায়, শয়তানের ধোঁকা থেকে রক্ষা করে এবং জান্নাতের পথে পরিচালিত করে। আজকের আলোচনায় আমরা জানব— ✅ তাকওয়া কী? ✅ কেন এটি আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ? ✅ কীভাবে আমরা সত্যিকারের মুত্তাকি হতে পারি? 🔹 তাকওয়া কী? তাকওয়া শব্দটি এসেছে আরবি 'وِقَايَة' (ওয়িকায়াহ) শব্দ থেকে, যার অর্থ আত্মরক্ষা করা । ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে, তাকওয়া হলো— "আল্লাহর ভয় অন্তরে রাখা এবং তাঁর নিষিদ্ধ কাজগুলো থেকে দূরে থাকা।" কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলেন— يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُ...