ডাকসুতো কোন নেতৃত্ব প্রয়োজন?




 ডাকসু নির্বাচন: দেশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কোন নেতৃত্ব প্রয়োজন?


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় বাংলাদেশের রাজনীতির জননী। এখান থেকেই গড়ে উঠেছে অনেক আন্দোলন, অনেক নেতা, এবং দেশের জন্য বড় পরিবর্তনের সূচনা। তাই ডাকসু নির্বাচন কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিষয় নয়, বরং এর প্রভাব পুরো দেশজুড়ে পড়ে।


ডাকসুর ঐতিহাসিক ভূমিকা


ডাকসু বাংলাদেশের ইতিহাসে একাধিকবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, গণতান্ত্রিক আন্দোলন—সব জায়গাতেই ডাকসুর নেতৃত্ব থেকে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। কিন্তু দীর্ঘ সময় ডাকসুর নির্বাচন হয়নি। শেষবার ২০১৯ সালে নির্বাচন হলেও নানা অনিয়ম ও বিতর্ক থেকে শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট হতে পারেনি।


বর্তমানে পরিস্থিতি


এবারের ডাকসু নির্বাচন ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। প্রধান ছাত্র সংগঠনগুলো সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা চায়—এমন একটি নেতৃত্ব আসুক, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ রক্ষা করবে, শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কাজ করবে, এবং জাতীয় রাজনীতির অন্ধ অনুকরণ করবে না।


কে জিতলে দেশের জন্য ভালো?


যারা শিক্ষার্থীদের বাস্তব সমস্যাকে গুরুত্ব দেবে — যেমন আবাসন সংকট, লাইব্রেরির উন্নয়ন, সেশনজট নিরসন, নিরাপত্তা ইত্যাদি।


যারা স্বচ্ছ নেতৃত্ব দেবে — দলীয় প্রভাবমুক্ত থেকে শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট রক্ষা করবে।


যারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী — ভিন্নমত দমনে নয়, বরং সহনশীলতা ও আলোচনা সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দেবে।



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কারা ভালো?


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য দরকার একদল ছাত্রনেতা যারা—


1. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মান বাড়ানোর জন্য প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করবে।



2. শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করবে।



3. ছাত্র-রাজনীতিকে সহিংসতা ও সন্ত্রাস থেকে দূরে রাখবে।




উপসংহার


ডাকসু নির্বাচন একদিনের ভোট নয়, এটি আগামী দিনের নেতৃত্ব তৈরির জায়গা। দেশের জন্য ভালো হবে যদি নির্বাচিত নেতারা জনগণের প্রতিনিধি হয়ে উঠতে পারে, এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভালো হবে যদি তারা বিশ্ববিদ্যালয়কে আবারও জ্ঞান ও আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে। তাই এবার সময় এসেছে সৎ, সাহসী এবং শিক্ষার্থীমুখী নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার।


Comments

Popular posts from this blog

ভাইরালিজম রোগে মানুষ আক্রান্ত

১৩ সেকেন্ডে ১৫ টি আ/ঘাত