Posts

Showing posts from September, 2025

মানুষ আল্লাহর থেকেও কঠিনভাবে মানুষের বিচার করতে চায়।

Image
  মানুষ মানুষের বিচার আল্লাহর থেকেও কঠিনভাবে করতে চায় আজকের দুনিয়ায় দেখা যায়— কোনো মুসলিম যদি সামান্য ভুল করে, সাথে সাথে তাকে বাকা চোখে দেখা হয়। এক মুহূর্ত দেরি না করে তাকে ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হয় – “মুনাফিক”, “কাফির”, “ফাসিক”। কিন্তু প্রশ্ন হলো – আমরা কি আল্লাহর থেকেও বড় বিচারক? যে আল্লাহর দয়া আসমান-জমিনের থেকেও বিস্তৃত, যিনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন, তিনি যদি কাউকে সঙ্গে সঙ্গে ফয়সালা না করেন, তাহলে আমরা এত তাড়াহুড়া করি কেন? রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: 👉 “যদি কেউ তার ভাইকে ‘হে কাফির’ বলে ডাকে, আর সে যদি সত্যিই তেমন না হয়, তবে এই (কাফির বলার) কথা তার নিজের ওপর ফিরে আসে।” (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম) তাহলে আমাদের করণীয় কী? মানুষকে তাদের ভুলের কারণে ইসলাম থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া নয়, বরং তাদের হাত ধরে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা। কারণ, বিচারের আসল অধিকার কেবল আল্লাহর।

১৩ সেকেন্ডে ১৫ টি আ/ঘাত

Image
  সম্প্রতি বগুড়ায় ঘটে যাওয়া একটি নির্মম হত্যাকাণ্ড পুরো সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছে। শহরের দত্তবাড়িতে অবস্থিত শতাব্দী ফিলিং স্টেশনের অফিসকক্ষে ম্যানেজার ইকবাল হোসেন (২৫) ঘুমন্ত অবস্থায় সহকর্মী রাকিবুল ইসলাম ওরফে রতনের হাতুড়ি আঘাতে প্রাণ হারান। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মাত্র ১৫–২০ সেকেন্ডের মধ্যেই ধারাবাহিকভাবে হাতুড়ি চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। এই নৃশংস ঘটনার পেছনে ছিল প্রতিশোধের আগুন। কিছুদিন আগে তেল চুরির মিথ্যা অভিযোগ এনে ইকবালের হাতে মারধরের শিকার হয়েছিল রতন। সেই আঘাতের বদলা নিতে সে পরিকল্পিতভাবে সহকর্মীকে হত্যা করে। ঘটনাটি শুধু একটি হত্যাকাণ্ড নয়, বরং এটি আমাদের সমাজের ভেতরে জমে থাকা হিংসা, প্রতিশোধ আর নিয়ন্ত্রণহীন রাগের ভয়াবহ প্রতিচ্ছবি। কর্মস্থলে ছোটখাটো মতবিরোধ থেকে শুরু করে বন্ধুদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি—সবখানেই আমরা দেখি ক্রোধের আগুন মুহূর্তেই ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনে। কিন্তু আমরা ভুলে যাই, প্রতিশোধ কখনোই সমাধান নয়। প্রতিশোধ শুধু নতুন অপরাধের জন্ম দেয়, ধ্বংস করে পরিবার, কর্মক্ষেত্র ও সমাজের স্থিতি। ইসলামে আল্লাহ তায়ালা বারবার বলেছেন ক্রোধ সংযম করার কথা। রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: > “শক্...

ডাকসুতো কোন নেতৃত্ব প্রয়োজন?

Image
 ডাকসু নির্বাচন: দেশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কোন নেতৃত্ব প্রয়োজন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় বাংলাদেশের রাজনীতির জননী। এখান থেকেই গড়ে উঠেছে অনেক আন্দোলন, অনেক নেতা, এবং দেশের জন্য বড় পরিবর্তনের সূচনা। তাই ডাকসু নির্বাচন কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিষয় নয়, বরং এর প্রভাব পুরো দেশজুড়ে পড়ে। ডাকসুর ঐতিহাসিক ভূমিকা ডাকসু বাংলাদেশের ইতিহাসে একাধিকবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, গণতান্ত্রিক আন্দোলন—সব জায়গাতেই ডাকসুর নেতৃত্ব থেকে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। কিন্তু দীর্ঘ সময় ডাকসুর নির্বাচন হয়নি। শেষবার ২০১৯ সালে নির্বাচন হলেও নানা অনিয়ম ও বিতর্ক থেকে শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট হতে পারেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি এবারের ডাকসু নির্বাচন ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। প্রধান ছাত্র সংগঠনগুলো সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা চায়—এমন একটি নেতৃত্ব আসুক, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ রক্ষা করবে, শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কাজ করবে, এবং জাতীয় রাজনীতির অন্ধ অনুকরণ করবে না। কে জিতলে দেশের জন্য ভালো? যারা শিক্ষার্থীদের বাস্তব সমস্যাকে গুরুত্ব দেবে — যেমন আবাসন...